একমাস আগের বন্যার ধকল কাটিয়ে না উঠতেই কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আবারো বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা ও কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা, বাংলাবাজার, লক্ষীপুর ইউনিয়ন। পাহাড়ি ঢলে আকষ্মিক বন্যায় কুড়িগ্রামে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দু’টি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের মানুষ। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের মানুষ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

গেলো কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার সুরমা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। জাদুকাটা ও পাটলাই নদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠেছে এসব এলাকার কয়েকটি গ্রামীণ সড়কেও। এছাড়া দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা, বাংলাবাজার, লক্ষিপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সিলেটেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে। তবে তা বিপদসীমার নীচ দিয়ে বইছে।

গত তিনদিনের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার জিঞ্জিরাম, কালোর নদী ও ধরণী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দু’টি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে ৫৯২ হেক্টর ফসলী জমি। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বন্যা দুর্গতরা।

লালমনিরহাটে ধরলা, রত্নাই ও স্বর্ণামতি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আর তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।